স্বদেশ ডেস্ক:
ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো নির্মিত হচ্ছে মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে স্থায়ী শহীদ মিনার। এটি পিংক সিটি খ্যাত ফ্রান্সে তুলুজ শহরে নির্মিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। শহীদ মিনারের জন্য স্থানীয় মেরি (সিটি কর্পোরেশন) থেকে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২ মিটার। মূল শহীদ মিনারের নকশায় রয়েছে প্রস্থ ৬ মিটার ও উচ্চতা ৩ মিটার।
তুলুজ বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও আয়েবা’র সহ সভাপতি ফখরুল আকম সেলিমের দীর্ঘ প্রায় এক দশকের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে ফ্রান্সের মাটিতে প্রথম এই শহীদ মিনারটি নির্মিত হলো ।
এ ব্যাপারে ফখরুল আকম সেলিম জানান, ২০১০ সালের শুরুর দিকে তৎকালীন ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে শহীদ মিনার নির্মাণ বিষয়ে তিনি আলাপ করেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে দফায় দফায় যোগাযোগ অব্যাহতসহ স্থানীয় মেরির (সিটি কর্পোরেশন) ৬২ জন সদস্যের সামনে শহীদ মিনার নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সর্বশেষ গত ১১ মার্চ পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পায়। কিন্তু করোনাকালীন সংকটের কারণে নির্মাণ কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়।
শহীদ মিনার নির্মাণের এই উদ্যোক্তা বলেন, ‘ফ্রান্সে ২য় বৃহৎ প্রবাসী অধ্যুষিত শহর তুলুজে অবশেষে দীর্ঘ কাঙ্খিত শহীদ মিনার মাথা উঁচু করে দাড়ালো। এতে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে, প্রায় দীর্ঘ এক দশকের অব্যাহত অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফসল বাঙালি ইতিহাস, সংষ্কৃতির ধারক ও বাহক এই শহীদ মিনার । এখান থেকেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস সংস্কৃতি জানতে পারবে এবং সেইসঙ্গে বাংলা সংস্কৃতি লালন করবে।’
যাদের অনুপ্রেরণায় তিনি এই স্থায়ী মিনার নির্মাণে শক্তি পেয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানান ফখরুল আকম সেলিম। তাদের মধ্যে অন্যতম ফ্রান্সের বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোর উপদেষ্টা তোজাম্মেল হক টনি। যার বিশেষ ভূমিকায় রয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতিতে।
এ ছাড়াও স্থায়ী মিনার নির্মাণে সহযোগিতা করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম, তুলুজ সিটি মেয়র জন লুক মোদানক, ডেপুটি মেয়রসহ আয়েবা মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ ও তুলুজ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
আর কয়েকদিনের মধ্যেই শহীদ মিনারের কাজ পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ হবে এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন তুলুজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।